বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়া নির্বাচনের পর নতুন সরকার দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সম্প্রতি টাইমস নিউজসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
নির্বাচনের পর নতুন সরকার দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
২০২৩ সাল জুড়ে মার্কিন কর্মকর্তারা একের পর এক বাংলাদেশ সফর করেছেন। এ বছর ১৫টির বেশি মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানান তারা।
ভোটে বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সর্বদা সরব ছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেন। জাতীয় নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করেন যা নিয়ে সরকার একাধিকবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করেছে।
ইতিমধ্যে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ১৬ নভেম্বর একটি নতুন বৈশ্বিক শ্রম নীতি ঘোষণা করেছেন। ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি সতর্কবার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তবে সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘুঁচে গেছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো আসার কোনো আশঙ্কা নেই। সবকিছুর মূলে ছিল শ্রম আইন। আমরা এই পয়েন্টটিও সন্তুষ্ট করেছি। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার কোনো আশঙ্কা নেই।
নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না বলেও জানান শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও নির্বাচনের পর নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র যে ৩৭ জনকে নিষেধাজ্ঞা করেছে তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নেই।
বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে আমেরিকানদের ভুল ধারণা দূর করতে পেরেছে ঢাকা বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।