বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক কিশোরকে প্রাণনাশ করা হয়েছে এমনই একটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ঙঞ্জে। প্রয়ান কালে কিশোরের বয়স ছিল ১৭ বছর। কিন্তু কেন তাকে প্রয়াত করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কোন সুনিদ্রিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে সজিব নামে এক কিশোর প্রয়াত হয়েছে। প্রয়ানের পরিবার জানায়, বাড়ি থেকে চারজন সজীবকে ডেকে নিয়ে এ প্রাণনাশকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। রোববার রাত ৭টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের লিংক রোড মোড় থেকে সজীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। প্রয়াত সজীব ফতুল্লা রামবাবুর পুকুরপাড় এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। কামাল হোসেন একটি দোকান চালাতেন। সজীব সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেনি। তিনি এখন বেকার ছিলেন। সজীবের বড় বোন শাহিনুর আক্তার জানান, সজীবকে ব্যবহার করার চেষ্টা হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। রাতে শুনলাম তাকে ছু// রিকাঘাতে প্রয়াত করা হয়েছে। সজিবের বাবা কামাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় বাসা থেকে চারজন সজিবকে ফোন করে। পরে তিনজন এসে জানায় সজীবকে প্রাণনাশ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় চাঁদমারী মৌরপট্টি এলাকায় যুবক দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
সেখানে কেউ আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে লিংক রোডের মোড়ে আহত অবস্থায় পাওয়া যায় সজীবকে। তার শরীরে ছু// রিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সুপার অফিসের দক্ষিণ দিকের রাস্তাটি মৌরাপট্টির সাথে সংযুক্ত। এই সড়কে প্রায়ই সন্ধ্যার পর নিষিদ্ধদ্রব্য ব্যবসায়ী ও চাকরদের ভিড় থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আদালত থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কাছের লিংক রোডে কাউকে ছু// রিকাঘাত করতে দেখেননি, তবে জমে থাকা অবস্থায় তাকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ছেলেটির শরীর। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই কিশোরের প্রয়ান হয়। তার বুকে ছু// রিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রয়াত সজিবকে ঘটনার দিন ৪/৫জন যুবক এসে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শোনা যায় প্রয়াত সজিবকে কয়েকজন যুবক মিলে প্রাণনাশ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় এক এসপির কার্যালয়ের অফিসের পাশেই। ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রয়াত সজিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষনা করেন।