Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাড়লোক হতে আয়াতকে ৬ টুকরো, দেড় মাস আগেই পরিকল্পনা: এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল আবির নিজেই

বাড়লোক হতে আয়াতকে ৬ টুকরো, দেড় মাস আগেই পরিকল্পনা: এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল আবির নিজেই

অনেক আগে থেকেই ক্রাইম প্যাট্রল ও সিআইডি দেখে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে খুনের ঘটনা রপ্ত করেন আবির আলী। আর এরই জের ধরে সকলে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় আয়াতকে অপহরণ করেন। এরপর নির্জন জায়গায় নিয়ে শ্বা’স’রো’ধে’ ‘হ”ত্যা’ করে আবির। আর এরপরই ছোট্ট আয়াতের ‘মৃ’ত”দেহ মায়ের অজ্ঞা’তে তার বাসায় লুকিয়ে রাখেন আবির।

পরে নিজেই আলিনার মা–বাবার সঙ্গে মিলে আলিনাকে খুঁজতে থাকেন। আবির এ ‘হ”ত্যা”র পরিকল্পনা করেছিলেন দেড় মাস আগেই।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবির মিয়া। সেখানে আবির এসব কথা বলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবিরকে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জবানবন্দিতে ‘হ”ত্যা’ পরিকল্পনা ও হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে আবির জানায়, দেড় মাস আগে আবির নিখোঁজের পর তার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এর আগেও কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বাড়ির আশেপাশে লোকজন থাকায় তিনি কিছুই করতে পারেননি।

আয়াতের জন্মের পর থেকেই আবিরের বাবা-মা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি নিজেই আয়াতকে আদর করতেন। ‘হ”ত্যা’র কারণ সম্পর্কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত আবির তার জবানবন্দিতে বলেন, তার বাবা-মায়ের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক, তার’ মা চাকরি ছেড়ে দেওয়া, নিজে থেকে কিছু করতে না পারার কারণে এবং হঠাৎ ইচ্ছার কারণে তিনি এটি করেছেন। একজন বড় মানুষ হতে। তিনি ভেবেছিলেন ২০ লাখ টাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিনে ভাড়া দেবেন। তাই আয়াতকে ‘হ”ত্যা’ করে এই টাকা আদা’য়ের পরিক’ল্পনা করেন।

৩০ নভেম্বর পিবিআই বন্দরটিলার আকমল আলী ঘাটের কাছে স্লাইসগেট এলাকা থেকে দুটি পা এবং পরদিন একই এলাকা থেকে আয়াতের মাথা উদ্ধার করে।

নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আলিনার বাড়ি। তার বাবা সোহেল রানা। তিনি স্থানীয় একটি মুদি দোকানের মালিক। আয়াতের নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা প্রথমে জিডি, পরে ইপিজেড থানায় মাম’লা করেন। ২৫ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তার মা, বাবা ও বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজ দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জবানবন্দির পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আয়াতের দেহের বাকি অংশ খোঁজা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছন তিনি।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *