সরকার দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের উপেক্ষিত বাজেট প্রনয়ন করেছে। বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের কারনে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের উর্পাজন কমেছে যার ফলে তাদের জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু দ্রব্যের মূ্ল্য লাগামহীন ভাবে বাড়ায় তারা আরও অসহায় হয়ে পড়েছে। তবে সরকার দেশের দরিদ্র জনগষ্ঠির দিক বিবেচনা না করে এক শ্রেনীর মানুষের সুবিধা দিতে বাজেট করেছেন বলে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এবার বর্তমান বাজেটে রাঘববোয়ালদের তুষ্ট করতে বাজেট প্রনয়ন নিয়ে যা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাঘববোয়ালদের জন্য সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো রূপরেখা নেই। এই বাজেটে রাঘববোয়ালদের জন্য সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার ওপর কর আরোপ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গ্রামে ডাক্তার রাখতে প্রণোদনা বাড়াতে বাজেট দরকার। এ ছাড়া ক্ষুদ্র খামারি ও শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ বাজেট থেকে এড়িয়ে গেছে। তাদের জন্য বাজেটে কিছুই নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিচার বিভাগে বাজেট কমানো হয়েছে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে ন্যায়বিচার না থাকায় বিচার বিভাগ ব্যয় কমিয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয় না, তাই নির্বাচন কমিশনের উন্নয়ন বাজেট কমিয়ে দিয়েছে সরকার। বড়লোকের মদের সঙ্গে কাজু বাদাম খাওয়ার জন্য তার দাম কমানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের দরিদ্র জনগষ্ঠির কথা চিন্তা না করে সরকার দেশেরে রাঘববোয়ালদের সুবিধা রেখে বাজেট প্রনয়ন করেছে বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের বৃহত্তর জনগষ্ঠিকে বাদ রেখে বাজেট করেছেন যা দেশের জনগনের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হবে।