সরকার ক্ষমতার থাকার নেশায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্যাতন ও নিপিড়ন চালাচ্ছে তার প্রমাণ আবার নতুন করে দিল ভোলা বিএনপির সমাবেশের মিছিলে পুলিশের সদস্যের গু/লি করা মাধ্যমে। এতে দুই বিএনপি নেতা মা/রা যাওয়াসহ অসংখ্য আহত হয়েছেন। সরকার ক্ষমতা থেকে দেশের মানুষের টাকা লুটপাট করেছে। আর সেটি বলতে এমন নিষ্ঠুর আচারন করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের মাধ্যমে। লা/শ উপহার দিয়ে দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে সরকার বলে মন্তব্য করে এ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যা বললেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রহিম-নুরে আলমের মরদেহ উপহার দিয়ে সরকার শুধু ভোলার মানুষকে কাঁদায়নি, সারা দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা শহরের মহাজনপট্টি জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘বিএনপি লা/শের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ বরং লা/শের রাজনীতি করে।
আগস্টকে তারা (আওয়ামী লীগ) শোকের মাস বলে। আর সেই মাস শুরু করেছে রহিম-নুরে আলমের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলে কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো। বাঙ্গালী কাঁদবে না, তাই কাঁদাল। রহিম-নুরে আলমের লা/শ উপহার দিয়ে সরকার শুধু ভোলাবাসীকে কাঁদায়নি, সারা দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। ’
পুলিশের গু/লিতে আব্দুর রহিম ও নুর আলম নি/হত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, সেদিন পুলিশের হাতে অ/স্ত্র ছিল, বিএনপি কর্মীদের কাছে কোনো অ/স্ত্র ছিল না। তাই তাদের গু/লিতে আমাদের দুই নেতার মৃ/ত্যু হয়েছে। ‘
বর্তমানে জেলা বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নুরে আলমের জানাজা ও দাফন শেষে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে সরকার গু/লি করে দুইজনের প্রাণ নিয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুকে ও মাথায় গু/লি করতে পারে না। গু/লি করতে হলে করবে হাঁটুর নিচে। কিন্তু ভোলায় পুলিশ গু/লি করেছে মাথায়, বুকে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে সম্মেলন। দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শিমুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম জাবেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সংগঠক মোহাম্মদ আলমগীর শাহীন, ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম গোলাম প্রমুখ। , সচিব হারুন মো. অর রশিদ ট্রু ম্যান চলচ্চিত্রের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের পক্ষ থেকে নি/হত স্বেচ্ছাসেবক নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রসঙ্গত, জনগণের দাবি আদায় করতে আজ মৃত্যু বরন করতে হল বিএনপির কর্মীদের। দেশের মানুষ দেখছে যে সরকার বিরোধী দলের উপর কি ধরনের নিপিড়ন চালাচ্ছে।