বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে পুলিশের ভূমিকা বিরল। অন্যান্য বাহিনীর মতো পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সক্রিয় ভাবে ভূমিকা রাখে। প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ করতে চাই মন্তব্য করে যা বললেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
‘স্বাধীনতাযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বগাঁথা নিয়ে অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছে। ডকুমেন্টারি হয়েছে, বই লেখা হয়েছে। আমরা উদ্যোগ নেবো। প্রয়োজনে ৬৪ জেলায় মুক্তিযু/দ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলাদা প্রকল্প নেবো। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা আলাদা করে প্রকাশ করবো। এখন অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা পুলিশের গর্বের জায়গাগুলো, প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ করতে চাই।’
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘মুক্তির প্রথম প্রতিরোধ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, গত শতাব্দীতে দুটি ঘটনা ঘটেছে। যা চার হাজার বছরের গতিপথ পাল্টে দেয়। একটি বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব, আরেকটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযু/দ্ধ। সেই যুদ্ধে পুলিশের যে বীরত্ব ছিল, এই গ্রন্থ তার নমুনামাত্র।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃ/ত্যুর পর ৩০ বছর গণতন্ত্রের দেখা মেলেনি। সেই যুদ্ধে পুলিশের যে বীরত্ব ছিল, এই গ্রন্থ তার নমুনামাত্র। কিন্তু জ্ঞান ও বিজ্ঞানের কারণে আমরা এখন সহজেই তুলনা করতে পারি। তাছাড়া আমাদের একটা প্রমিজিং জেনারেশন রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পুলিশের ছায়াময় সম্পর্ক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এখন অনেক সত্য ইতিহাস বেরিয়ে আসছে, গোপন নথির সূত্র ধরে আমরা জানতে পারি। বাঙালি পুলিশ প্রথম থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল। বাঙালি পুলিশ সভা-কমিটি করার ব্যবস্থা করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে তা উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা যু/দ্ধে পুলিশের যে ভূমিকা ছিল তার সঠিক ইতিহাস অনেকে জানতেন না বলে মন্তব্য করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, এর সঠিক ইতিহাস এখনো প্রকাশিত হয়েছে।