আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসের দিকে তাকিয়ে আছে- মিস্টার বাইডেন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দেখলেন বাইডেন সাহেব নিজেই সেলফি তুলেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। সাথে পুতুলও ছিল। এই দৃশ্য দেখে বিএনপির এখন কী হবে? ? এখন কো/ন যাত্রা। পতনযাত্রা নয়, পশ্চাৎযাত্রা। তারা পিছনের দিকে হাঁটা শুরু করবে। শুধু পিছনে।’
শনিবার বিকেলে সারাদেশে বিএনপির আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, স/ন্ত্রাস ও না/শকতার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির গণসমাবেশ সম্পর্কে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি যা দেখেছি তাতে মনে হয় না জনসভায় আর মানুষ আসবে। দলের কর্মীরা আর লন্ডনের দিকে তাকায় না। এখন ফখরুল সাহেব কী দেখাবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দেশে মিথ্যার ম/হামারী এনেছে। বিএনপির সুবাদে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের একজন এমনকি গ্রামের একজন শ্রমিককে মিথ্যা বলতে শিখিয়েছিলেন। প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলা। ফখরুল সাহেব সিঙ্গাপুর থেকে পরামর্শ নিয়ে এসেছেন, এখন কী করবেন? নেতাকর্মীদের আর কত মিথ্যা আশ্বাস দেবেন?
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এক বা দুই, অনেক স্থানে আরও বেশি।ওপরে ওপরে আ/ন্দোলন, তলে তলে নির্বাচন- এই অবস্থা বিএনপির। তার যত বেশি টাকা, তত বেশি সে লন্ডনে পাড়ি জমায়। নির্বাচন না হলে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য কেমন হবে? তারা খেলা হেরেছে। এখনো নির্বাচন হওয়া বাকি। ফাইনাল খেলায়ও হারবে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্য ডা. কামরুল ইসলাম। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ হাজী ইসমাইল, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল সাত্তার মাসুদ, আবুল হোসেন, হেদায়েতুল ইসলাম প্রমুখ। স্বপন, কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, মিরাজ হোসেন, আখতার হোসেন, গোলাম সারোয়ার কবির, আবুল কালাম আজাদ, গিয়াস উদ্দিন সরকার পলাশ, রাজিবুল ইসলাম, সজল কুন্ডু, চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।