বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি শুধু একজন বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার নন, তিনি বিভিন্ন ব্রান্ডের পন্যের মডেলও। বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। বিপরীতে তিনি মোটা টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন এসব কোম্পানির সাথে। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তিতে এই সকল কোম্পানীর কাজ করেন।
প্রায় ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে যমুনা ব্যাংক ও বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও চুক্তি লঙ্ঘন করে ব্র্যান্ড ইমেজ, ছবি অবৈধভাবে ব্যবহার করায় এই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন সাকিব।
রোববার (২৪ জুলাই) সাকিব আল হাসানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদি সংগঠন দুটিকে আইনি নোটিশ পাঠান। দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনি নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি সাকিবের ছবি, ব্র্যান্ড ও স্বাক্ষর অপসারণ করতে বলা হয়েছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এবং বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তাদের বাণিজ্যিক কাজে সীমিত আকারে সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করার জন্য মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের সাথে একটি চুক্তি করে। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও, বাংলালিংক সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত ছবি, বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছে।”
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, “বাংলালিংক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য এটিএম বুথ এবং অন্যান্য জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষরের প্রচার করছে। এ ধরনের বেআইনি কাজে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে “ঘৃণ্য, বেআইনি এবং অনৈতিক” বলে দাবি করে নোটিশে বলা হয়েছে, “এতে চুক্তি ভঙ্গ ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ধারা ২৬, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ধারা ৪৪, কপিরাইট আইন ২০০০ এর ধারা ৮২ এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৪০৬ ও ৪২০ এর লঙ্ঘন হয়েছে।”
আইনি নোটিশে সাকিব আল হাসানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত সব ধরনের ছবির প্রচার থেকে বিরত ও প্রচার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান এখন শুধু একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একজন ব্যবসায়ীও। তিনি দেশে বেশ কয়েকটি ব্যবসা শুরু করেছেন এবং তাছাড়া তিনি একটি ব্যাংকের শেয়ার হিসেবে রয়েছেন। সাকিব আল হাসান আগামী বছর ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে পারেন এমন ধরনের খবর শোনা গেছে।