বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যেন থামছেই না। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা নিয়ে এখনো চলছে নানা ধরনের সমালোচনা। এ দিকে এবার জানা গেলো নতুন খবর।ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, “যেহেতু মানবাধিকার মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, তাই মার্কিন দূতাবাস মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।”
‘মায়ের ডাক’ সংস্থার সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিভিন্ন প্রবন্ধ ও বিবৃতির আলোকে মুখপাত্র বলেন, মার্কিন দূতাবাস এ ধরনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে।
তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের কান্না’র পর গত কয়েক বছরে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে’ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ১৪ ডিসেম্বর মাদার ডাকের সঙ্গে তার নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন।
তিনি এক ই-মেইলে বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে বিষয়টি জানিয়েছি।
১৫ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, “মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন তা নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতের সাথে ঘটে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চায় না দেশটি। তারা এ মর্মে জানিয়েছেন বিষয়টি।