আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অবস্থানরত বা ভ্রমনে আসা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যর নাগরিকদের যাতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে সেজন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছে ব্রিটিশ হাই কমিশন।
মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ক্ষো”ভ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বলছে, বলছে। তারে জিজ্ঞেস করেন, আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? সে কি বেসিসে করেছে, তাকে জিজ্ঞেস করেন। তার দেশে ইদানীং বোধহয় অভাব-টভাব বেশি সে কারণে।’
১০ ডিসেম্বর নিয়ে আত”ঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে মোমেন বলেন, “এমন গুজব আমরা আগেও শুনেছি। জনগণের সমর্থন না থাকলে এগুলো সব মিলিয়ে যাবে।
এদিকে ১০ ডিসেম্বরের ঘিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘না। এটা একটা বড় ব্যাপার হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। আপনারা মিডিয়ারাই এটা নিয়ে খুব চিন্তিত। এটি একটি মিডিয়া ইস্যু।’
তিনি আরও বলেন, কিছু লোক হুঙ্কার দিলে সবাই কি পালিয়ে যাবে? কোনোভাবেই না। আপনারা এত চিন্তিত কেন, চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি ঠিকই খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন, ঘোরাফেরা করতে পারবেন। এখানে সরকার আছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়- ‘ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘ”র্ষের আশ’/ঙ্কা রয়েছে। গণপরিবহন, যোগাযোগ ও শহরের যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সমাবেশের আগে ও পরে কয়েকদিন ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি থাকতে পারে। তাই রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বড় সমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু সমাবেশের স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি। পল্টনে সমাবেশের জন্য বিএনপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিকট অনুমতি চাইতে গেলে তারা পল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। এদিকে ডিএমপির তরফ থেকে দুটি স্থানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।