বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য সংলাপ কীভাবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। তবে আমি এ বিষয়ে (কথা বলা থেকে) বিরত থাকব।’
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেবে না। আমরা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
আরেক প্রশ্নে বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমেরিকা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে শুরু করলে বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব বড় রাজনৈতিক দল (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কাজ করছে। কেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে মার্কিন সরকার আলোচনা করবে? এটা কি ইঙ্গিত করে না যে, বাংলাদেশ (বর্তমান শাসকদের দ্বারা) ইতোমধ্যে ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে? যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বাস করে যে, ভারতের ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশে কিছু করেছে (কোনো ভূমিকা রেখেছে)?’
জবাবে মিলার বলেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ জনগণেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে অন্য প্রশ্নের জবাব দেননি মিলার।