বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে আওয়ামীপন্থি নীল দল। সভাপতি, সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নীল দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপিপন্থি সবুজ দল থেকে মাত্র একজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পেরেছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১৫টি পদের মধ্যে নীল দলের ৯ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহ, সহসভাপতি তানভির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ, সহসম্পাদক এইউএম মান্না ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ আফসানা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার। এছাড়া সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তাক আহমেদ এবং প্রণয় রায় শুভ।
অন্যদিকে, সবুজ দল থেকে সহসভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। হলুদ দল থেকে পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক রামেন্দু দাস পলাশ, প্রচার সম্পাদক শাহ মো. ইয়াকিমুল আলম, এবং সদস্য শাহরিয়ার রহমান সামস, সাবিকুন নাহার শিরিন, আবিদ আলী মোগল।
এই নির্বাচনে নীল দলের বিজয়কে ঘিরে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিদের এই প্রভাব দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
নির্বাচন-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো বিগত গভর্নর ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদারের সময় সাজানো নীতিমালার ছকের মধ্যেই চলছে। ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম, ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংস্থায় এ ধরনের রাজনৈতিক আধিপত্য চলমান সংস্কার প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তারা মত দিয়েছেন।