শেষ হয়ে গেল কাতারে আয়োজিত ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবল। ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে শিরোপা জয় করে নিল আর্জেন্টিনা। গত ১৮ ডিসেম্বর রবিবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পুরস্কার দেওয়ার সময় তুমুলভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আর্জেন্টিনার দলের খেলোয়াড়েরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মেসি ও তার সতীর্থরা যখন ছাদখোলা বাসে হোটেলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখন ফুটবল জাদুকরের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্লোগান দিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হচ্ছিলেন। বিষয়টি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
রাত ৯টায় শুরু হওয়া আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল ১২০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি পেনাল্টিতে। সেই পেনাল্টি দিয়ে ৩৬ বছরের খরার পর মেসির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর মেসির পরিবার স্টেডিয়াম ত্যাগ করছিলেন, যখন আর্জেন্টিনার সমস্ত খেলোয়াড় একটি ছাদ খোলা বাসে স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়ার ক্যামেরায় দেখা যায়, মেসির পরিবার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্লোগান দিয়ে স্টেডিয়াম এলাকা ত্যাগ করছেন। এই মিছিলে ছিলেন মেসির স্ত্রী রোকুজ্জো, মা সেলিয়া, বাবা জর্জ, বড় ভাই রডরিগো সহ পরিবারের অন্যরা। তাদের কণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম।
আর্জেন্টিনার প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেসির মা সেলিয়া। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের কাছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি অভিভূত যে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনা এবং আমার ছেলেকে ভালোবাসে এবং সমর্থন করে। আমি তোমাকে ভালবাসি, বাংলাদেশ।
সেই সময় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেসির জ্যেষ্ঠভ্রাতা রডরিগো। আর্জেন্টিনা এবং তার ভাইকে সমর্থন করায় বাংলাদেশের মানুষকে তিনি ধন্যবাদ জানান। এদিকে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অধিকাংশই আর্জেন্টিনার সমর্থক। বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশের ভিডিও ফিফার ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করে।