বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ পাড়ি জমিয়ে থাকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাভলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই বৈধ-অবৈধ নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকে। অবশ্যে সরকারী ভাবেও অনেকেই অনেক দেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সার্বিয়া ও রোমানিয়া সফর শেষে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে রোমানিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বিভিন্ন খাতে ৪০ হাজার শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন কোন কোন সেক্টরে শ্রমিক লাগবে, কোন কোন সেক্টরে আমরা দিতে পারবো সেটা বিবেচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এক হাজার শ্রমিক পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, কোনো দেশে শ্রমিক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশে সেদেশের মিশন থাকলে সুবিধা হয়। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো মিশন নেই। আমরা এখানে তাদের মিশন খোলার ব্যাপারে অনুরোধ করেছি। মন্ত্রী বলেন, বলকান যু/দ্ধে/র সময় দুই দেশের মিশন (সার্বিয়া ও রোমানিয়া) বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে মূল সমস্যা হচ্ছে ঢাকায় তাদের কোনো মিশন নেই। দেশটি দিল্লির মিশনকে কাজে লাগাতে চায়। তবে সেই মিশনটিও ছোট। এর মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের ওয়ার্ক পারমিট আসেনি। তাই কনস্যুলার সেবা ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক নেবে রোমানিয়া ড. মোমেন বলেন, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেখবে। এটি হবে সরকার টু সরকার পর্যায়ে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না বলে জানান তিনি। রোমানিয়া থেকে অবৈধভাবে ৮৬০ বাংলাদেশি জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রোমানিয়ায় কয়েকশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর স্কলারশিপের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
অবশ্যে কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার জন্য বৈধ পন্থা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। তবে অনেকেই অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নানা ভাবে বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি প্রানও হারাতে হয়েছে অনেককে। এদিকে বর্তমান সরকার অবৈধ ভাবে বিদেশগমন প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে কাজ করছে। এবং সরকারী ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মধ্যে দিয়ে বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।