বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপের গুরুত্বের কথা বলেছেন।
একই সঙ্গে জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া একজন সাংবাদিক উল্লেখ করেছেন যে, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মিলারের মতামত চাওয়া হয়েছে।
জবাবে মিলার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপ অপরিহার্য।
মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।
পরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ করেন, তাহলে তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ করবেন। মূলত শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সংলাপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার প্রশাসন বিরোধীদের ওপর খুব আক্রমণ করছে। আজ পুলিশের হাতে বিরোধীদলীয় দুই নেতা নিহত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে ঢাকায় বিরোধী দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিদিনই তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, তাহলে আপনি কীভাবে বিশ্বাস করবেন যে, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (অংশগ্রহণমূলক) হবে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এই মুখপাত্র বলেছেন, আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশের (বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপ) উত্তরে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আগে যা বলেছি তা ছাড়া অন্য কোনো মন্তব্য করব না। আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সিইসির সঙ্গে আলোচনার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশা প্রকাশ করেন যে, দলগুলো বিনা শর্তে সংলাপে বসবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ বের করবে। চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে সব দল কাজ করবে।