জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে কারাবন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য মানুষকে কারাগারে পাঠানো যাবে না।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “আমরা নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য কারাগারে পাঠানো যাবে না।”
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং কারাগারে আটক বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন মামলায় কিংবা মামলা ব্যতীত আটক সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই আহ্বানের সঙ্গে মহাসচিব কি একমত?
এ বিষয়ে ডুজারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করার জন্য মানুষকে কখনই জেলে দেওয়া উচিত নয় এবং তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি অভিযুক্ত না হয়, আমরা অনতিবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে ৯ জানুয়ারি জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টি উঠে আসে। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারের কথা বলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি।
স্টিফেন ডুজারিকের কাছে সাংবাদিক জানতে চান- নির্বাচনের নামে শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া দমনপীড়নের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এর শিকার, নিষ্পেষিত এবং ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে সব বড় রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন, ভোট জালিয়াতি, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন হয়েছে।
তার প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমি আগেই বলেছি যে মহাসচিব প্রকাশ্যে সব পক্ষকে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে এবং প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে, প্রতিটি মানুষের আইনগত অধিকারের প্রবেশাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুসংহতকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আমরা যে সহিংসতা দেখেছি সে বিষয়ে মহাসচিব অবশ্যই উদ্বিগ্ন।