অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের আট এমপি। চিঠিতে তারা সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ শুক্রবার কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্র্যাড রেডেকপ সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (টুইটার) এ এ তথ্য জানিয়েছেন। যে আটজন কানাডিয়ান সংসদ সদস্য চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্র্যাড রেডেকপ, সালমা আতাউল্লাহজান, সালমা জাহিদ, লুক দেসিলেতস, কেন হার্ডি, ল্যারি ব্রোক, রবার্ট কিচেন ও কেভিন ওয়েগ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে সংসদ সদস্যরা বলেন, কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলতে চাই যে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন দেখতে আমরা গভীরভাবে আগ্রহী। ২০১৪ সালের জানুয়ারীতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হোক। আমরা আশা করি, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দল বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আমরা আশা করি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আপনার সরকার সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সব বাংলাদেশির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে। এ ছাড়া সব যোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
চিঠিতে বলা হয়, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ ও নাগরিকদের পছন্দ ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে। সব রাজনৈতিক দলকে অবাধে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ এবং নাগরিকদের পছন্দের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে। সব রাজনৈতিক দলকে অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যেতে পারে।
এটি শুধু জাতির গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে না বরং বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হবে।
চিঠিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জনগণ এবং পণ্য আদান-প্রদান বাড়বে। আর এটা দুই দেশেই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমেই ঘটতে পারে। চিঠির শেষে আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকারপ্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।