বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা সবকিছুই শহীদ জিয়ার হাত ধরে গড়ে উঠেছে, “খালেদা জিয়া বি/এনপির দ্বিতীয় পিলার। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য মানুষ কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে কথাটি একারণেই বলেছি। তার (খালেদা জিয়া) স্বামী যু/দ্ধে গেলে তাকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে রাখা হয়। তখন অনেকেই ঘরে বসে ছিলেন। কেউ কেউ ভাতা নিছে, পাকিস্তানি মেজরের গাড়িতে হাসপাতালে গেছে। কিন্তু তাকে বন্দী করা হয়। স্বামী নি/হত হওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নেমে এসেছিলেন। তার প্রতি একটু শ্রদ্ধা থাকলে এভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রাখা হতো না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খান হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও শহীদ জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দুদু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। জনগণ তত্ত্বাবধায়ক চায় বলেই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকেই বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জাদুঘরে রাখা হয়েছে। আমি বলছি যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে তাদের জাদুঘরে রাখা উচিত।’
‘বিএনপিকে ধ্বং/স করার জন্য ডিজিটাল আইন করা হয়েছে’ মন্তব্য করে দুদু বলেন, ‘বিএনপি সত্য কথা বলে, জনগণের পাশে দাঁড়ায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, দু/র্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। দু/র্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলা করে। আর তাদের বাধা দিতে মুখ বন্ধ রাখতে ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল আইন করে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানবাধিকারের জন্য। এই জায়গায় কোনো আপস নেই। এটা শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি। আরেকজন আছেন যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারিক রহমান। তার নাম শুনলেই মাঝরাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ যুব ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।