অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে অবস্থান করছে। রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে তারা এই অবস্থান নিয়েছে। তবে উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তাদের এদেশে আসার বিরোধিতা করছে। তারা বলছে দেশ ছেড়ে ভুল করতে পারবে না।
শুক্রবার ক্যাম্পে আয়োজিত কনভেনশনে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে তারা অবিলম্বে মিয়ানমারে ফিরে যাবে।
দেশের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সংগঠনটি ইতিমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। ফলে বুচিডংসহ রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে।
এদিন উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর প্রতিনিয়ত দুই পক্ষের হামলা হচ্ছে। তাই তারা বাংলাদেশে অভিবাসনের জন্য এখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।
তবে এবার নির্যাতিত হলেও মাতৃভূমি ছেড়ে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
তারা বলে যে তারা 2017 সালে বাংলাদেশে এসে ভুল করেছিল। অন্যদের দ্বিতীয়বার এটি করতে দেবেন না। জান্তা এখন মিয়ানমারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই স্বদেশে ফেরা প্রয়োজন।
একজন রোহিঙ্গা বলেন, আমরা কাউকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চাই না। বরং আমাদের সেখানে যাওয়ার সময় হয়েছে। যা জরুরী হয়ে পড়েছে। এই সময়ে যাওয়া খুব ভালো।
আরেক রোহিঙ্গা সেই সুরের প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, তারা কষ্ট পেলেও, নিপীড়নের শিকার হলেও তাদের মিয়ানমারে থাকতে হবে। তারা থাকলে আমরা পরে যেতে পারি।
শরণার্থী কমিশন বলছে, সরকার আরও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আরও রোহিঙ্গা প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অনুপ্রবেশের পাশাপাশি ওপাশ থেকে আসছে ভারী অস্ত্রের ক্রমাগত ঝনঝন শব্দ। ফলে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।