সম্প্রতি ঢাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়া দিল্লি। জানা গেছে এই উদ্বেগের কারন হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলা এবং মন্দির ভাংচুর। আর এ নিয়েই মূলত বাংলাদেশের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মোদী সরকার।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মতে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় ভুগছে। কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল যে সরকার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুক। আজকের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ায় আগামী দিনে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। প্রতিবছর বাংলাদেশেও পূজার সংখ্যা বাড়ছে। তাই চিন্তা অপ্রয়োজনীয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান ঠেকাতে আজ দিল্লিতে শুরু হয়েছে ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এতে ৭২টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ মূল বৈঠকের মাঝামাঝি দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলাদাভাবে বৈঠক করেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা এবং মন্দির ধ্বংস নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানান। সূত্রের মতে, ভারতকেও ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা রোধ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও আজ দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পরে বৈঠকের বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দেশের সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার বিষয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে শাহ আজ আশ্বস্ত করেছেন যে মোদি সরকার মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ঢাকাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে বাংলাদেশ এ নিয়ে জানিয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর তাদের বিশেষ নজর রয়েছে। আর এই কারনে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সংখ্যা খুব এ কম এখন।