Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / International / বাংলাদেশে কোন সরকারকে দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর মুখপাত্র নেড প্রাইস

বাংলাদেশে কোন সরকারকে দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর মুখপাত্র নেড প্রাইস

বাংলাদেশে আসতে চলছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। আর এই কারনে সারা দেশে এখন এই নির্বাচনের আগের আমেজ আর উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতির ম্যাথ এই নির্বাচন নিয়ে বেশ উত্তাল হয়ে আছে।

এ দিকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন দেখতে চায়। সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র নেড প্রাইস নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলনকারী বিরোধী দল বিএনপির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুমকির বিষয়ে এই মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি বিএনপিকে হুমকি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র দফতরের এই মুখপাত্র বলেন, জনগণকে তাদের পছন্দের সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। সুশীল সমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

একই সময়ে, নেড প্রাইস বিরোধীদের আন্দোলনে কোনো ধরনের ভয়ভীতি বা বাধা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ পথে চলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির বার্তাটি সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন।

ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদক মুশফিকুল ফজল আনসারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হুমকির বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বলেন, “বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ মানুষ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে বিএনপির বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মন্ত্রী শেখ হাসিনা।৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র দফতরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মামলা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার এক ধরনের ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে, নেড প্রাইস মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “বিশ্বব্যাপী পররাষ্ট্রনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে দুটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তা হল গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার। আমরা সবসময় এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে আসছি।”

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “আমরা যে সব দেশের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি সেগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

এর মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র, সংবিধান শক্তিশালীকরণ, আইনের শাসন এবং সকল বাংলাদেশীর মানবাধিকার রক্ষার ওপর জোর দিচ্ছি। এর আগেও এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমি এখানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও বলেছি। আবার সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে আলোচনায়ও এসব বিষয় উঠে এসেছে। ”

তিনি বলেন, “আমাদের আহ্বানের উদ্দেশ্য হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা। যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান, আইনের শাসন বাস্তবায়ন, মানবাধিকার রক্ষা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন।”

নেড প্রাইস বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে সুশীল সমাজ ও বাংলাদেশের জনগণের অংশগ্রহণ চাই যাতে তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের সরকার নির্বাচন করতে পারে। এটাই আমরা আশা করি এবং বাংলাদেশ সরকারকে তা করার আহ্বান জানাই।”

বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে নেড প্রাইস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যে, বিরোধী দলকে বলপ্রয়োগ ও বাধা ছাড়াই অবাধে একত্রিত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য যাতে তারা নির্দ্বিধায় তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে।”

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে এবং জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে সব সময়ই বেশ জোর দিতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর এই লক্ষে তারা দেশের নির্বাচনের উপর রাখে বেশ নজরদারি।

About Rasel Khalifa

Check Also

হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্টে কী লিখেছে ভারত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি টানা চারবার ক্ষমতায় ছিলেন, বর্তমানে ভারতীয় মাটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *