অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ছোট হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি এই বাংলাদেশ। আর তাই তো প্রায় প্রতিবছরই বাংলার এই অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসে হাজারও পর্যাটক। আর এবার অনেকটা সেই ধারাবাহিকতায় হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলাদেশে এলেন কুয়েতি ধনকুবের আল-আজমী ফাহাদ।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার হেলিকপ্টার অবতরণ করে। পরে তিনি লতব্দী খিদিরপুর গ্রামে এসএম হেলালের বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। হেলাল ১৫ বছর ধরে কুয়েতে আছেন এবং আল-আজমি ফাহাদের সাথে ব্যবসা করেন।
বাংলাদেশের সবুজ আর সতেজ গ্রাম দেখে অভিভূত ফাহাদ। বাংলার বর্ষার ঋতু প্রকৃতি তাকে মুগ্ধ করেছিল। দুইবার বাংলাদেশে এলেও এই গ্রামে এসেছেন এই প্রথম।
কালো হেলিকপ্টারটি অবতরণের সাথে সাথে হেলাল ও তার স্ত্রী লাকী বেগম ও তার ছেলে ইমদাত হোসেন ধনকুবের ফাহাদের সাথে নেমে আসেন।
হেলালের চাচা আশরাফ হোসেন ঝন্টু জানান, ঈদের দুই দিন আগে বাংলাদেশে আসেন তিনি। রাজধানী ঢাকায় ছিলেন। এরপর হেলালকে নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য থাইল্যান্ডে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে থাই এয়ারলাইন্সের ঢাকায় অবতরণ করে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে আসেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সিরাজদিখান পর্যন্ত এই সময়ের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার টাকা।
হেলিকপ্টার থেকে অবতরণের পর লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুক্তার হোসেন ও হেলালের স্বজনরা ধনকুবেরকে স্বাগত জানান।
কুয়েতের নাগরিক আল-আজমি ফাহাদ বলেন, “গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আমার খুব ভালো লাগে। বাংলাদেশিরা খুব অতিথিপরায়ণ। তাই সময় পেলে আবার আসব গ্রামবাংলার সৌন্দর্য দেখতে।
এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে ধনকুবের আসার খবরে রীতিমতো হেলালের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রামের মানুষ। এভাবে দেশের মাটিতে ভিনদেশী মানুষকে দেখতে পেয়ে রীতিমতো আনন্দিত বোধ করেন গ্রাম বাসীরাও।