জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, মাতৃভাষা দিবস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ঘিরে। তবে জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষায় বাংলাকে সপ্তম ভাষা হিসেবে যুক্ত করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক মুখপাত্রকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’, বাংলা ভাষার গুরুত্ব এবং বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা করার একটি পুরানো অনুরোধ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। তার প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতিসংঘের সদর দফতর প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার নির্মাণের কোনও সম্ভাবনা আছে কি?- এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য জাতিসংঘে সদস্য রাষ্ট্রের স্থায়ী মিশন থেকে একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। অর্থাৎ, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মিশনকে প্রস্তাব উপস্থাপন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ড. এ কে এ মোমেন মিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি ওই সময় আর্থিক কারণে রেজুলেশন পাস হয়নি বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বিচলিত ও উদ্বিগ্ন। মিয়ানমার সামরিক জান্তার বিমান বাহিনীর সাম্প্রতিক স্কুলে হাম”লা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও সীমিত করেছি। তবে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানের লক্ষ্যে সর্বত্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।