সম্প্রতি একই সাথে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ নামে এক যুবক। জানা যায় ভালোবেসে দুইজনকে একই মন্দীরে বিয়ে করেন তারা। তাদের বিয়েতে দুই প্রেমিকারই সন্মতি ছিল। তবে তাদের সংসার দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি এর মধ্যে একজন রোহিনীকে ডির্ভোস দিয়ে চলে যায়। এবার একই ঘটনা আবারও ঘটাল সন্দীপ নামের এক ব্যক্তি তিনি একই সাথে দুইজনকে বিয়ে করলেন।
সন্দীপ বলেন, ‘আমি জানি এই বিয়ে নিয়ে আমাকে আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আমি তাদের দুজনকেই ভালোবাসি, তাদের ছাড়া আমি থাকতে পারব না। ‘
ভালোবেসে একজনের সঙ্গেই জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন। ভালোবেসে একজনের সঙ্গেই জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন। তবে ভালো লেগে যায় আরেকজনকে। বাধে গণ্ডগোল। একপর্যায়ে দুই নারীকেই বিয়ে করেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার যুবক রোহিনী চন্দ্র বর্মণ।এবার সেই একই ঘটনা ঘটল ভারতের ঝাড়খণ্ডে।।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগরের ভান্ডারা ব্লকের বান্দা গ্রামে একই মণ্ডপে দুই মহিলাকে একসঙ্গে বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সন্দীপ ওরাও নামে এক যুবক।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সন্দীপ এবং কুসুম লাকড়া তিন বছর ধরে একসঙ্গে থাকতেন। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। সংসার ভালোই চলছিল। তবে এক বছর আগে এই প্রেমের গল্প নতুন মোড় নেয়।
সন্দীপ পশ্চিমবঙ্গের একটি ইটের ভাটায় কাজ করতে গিয়েছিল। সে সময় তার সঙ্গে দেখা হয় স্বাতী কুমারীর। স্বাতীও সেই ইট ভাটায়ই কাজ করতেন। সন্দীপ বাড়ি ফেরার পরেও দুজনের দেখা-সাক্ষাৎ চলতে থাকে।
দুজনের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ শুরু করে দুই পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। দীর্ঘ ঝগড়া, বিবাদ ও অশান্তির পর গ্রামবাসী পঞ্চায়েত ডাকে। সিদ্ধান্ত হয় সন্দীপকে বিয়ে করতে হবে দুই মহিলাকে। এরপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
সন্দীপ বলেন, ‘আমি জানি এই বিয়ে নিয়ে আমাকে আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আমি তাদের দুজনকেই ভালোবাসি, তাদের ছাড়া আমি থাকতে পারব না। ‘
এর আগে গত এপ্রিলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিককে একসঙ্গে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন। তিন পরিবারের সম্মতিতে দুই বিয়ের পর দুই পাশে দুই স্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলেন রোহিণী। দুই স্ত্রীর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা তার ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
আটোয়ারির বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার রোহিনী (২৫) নিজের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন ২০ বছরের ইতি রানী ও ২১ বছর বয়সী মমতা রানীকে।
রোহিণী বলেন, ‘প্রথমে যাকে ভালোবেসেছিলাম তাকে বিয়ে করেছি। পরে মমতার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ে করব বুঝতে পারিনি। তিন পরিবারের সিদ্ধান্তে আবার বিয়ে করলাম। ‘
স্থানীয়রা জানায়, ইতি রানীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কয়েক মাস আগে স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন দুজনে। এরপর মমতা রানীর সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক শুরু করেন রোহিনী। ১২ এপ্রিল তারা দেখা করতে গেলে মমতার বাড়ির লোকজন রোহিণীকে আটক করে এবং পরের দিন তারা রোহিণী ও মমতাকে বিয়ে করে।
রোহিণীর বিয়ের খবর শুনে বুধবার সকালে ইতি রানী রোহিণীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন, পরে রাতে পরিবারের তিন সদস্যের উপস্থিতিতে ইতি ও মমতার সঙ্গে রোহিণীর বিয়ে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়। রোহিণী দুই বউকে এক সাথে ঘরে নিয়ে গেল
তবে দুই স্ত্রীকে নিয়ে রোহিণীর সংসার করা হয়নি । বিয়ের মাত্র ২২ দিন পর স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার।
গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতের ছত্তিশগড়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সে সময় চান্দু মৌরিয়া নামে এক ব্যক্তি তার দুই প্রেমিকা সুন্দরী কাশ্যপ ও হাসিনা বাঘেল কেদুজানকে একই দিনে একই মন্দিরে সকল সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে করেন।
প্রসঙ্গত, একই সঙ্গে দুই নারীকে বিয়ে করে আবারও আলোচনায় এসেছেন সন্দীপ। সন্দীপ এক সাথে কুসুম লাকড়া ও স্বাতী কুমারী নামের দুই নারীকে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সন্দীপ বলেন এটি নিয়ে আমাকে আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।