Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংকট নিয়ে এবার বার্তা দিল আইএমএফ: জানা গেল বিস্তারিত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংকট নিয়ে এবার বার্তা দিল আইএমএফ: জানা গেল বিস্তারিত

আইএমএফ হলো একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এই প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান। আইএমএফের প্রধাণ কাজ হলো দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা। সম্প্রতি জানা গেছে আইএমএফ জানিয়েছে বাংলাদেশ কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে নেই।

বাংলাদেশে খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম। এদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার থেকে একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশ একটি সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে নেই এবং দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি এই অঞ্চলের অনেক দেশের তুলনায় ভিন্ন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাহুল আনন্দ মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার এক অনলাইন বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আইএমএফের এই কর্মকর্তা তার অবস্থান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলকভাবে কম, যা জিডিপির ১৪ শতাংশ। আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ সরকারের ঋণের আবেদন প্রসঙ্গে রাহুল আনন্দ বলেন, অনুরোধটি স্বতঃপ্রণোদিত।

বাংলাদেশ সরকারের ঋণের অনুরোধের পর আইএমএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আইএমএফ বাংলাদেশকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।” আইএমএফের কর্মকর্তারা তহবিলের জন্য নিয়মিত নীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মসূচির নকশা নিয়ে আলোচনা করবেন।

রিজার্ভ কমতে শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েক দফা মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। এ বিষয়ে রাহুলের মন্তব্য, মুদ্রার অবমূল্যায়ন “অন্যান্য দেশে যে পরিস্থিতি দেখেন তার সঙ্গে তুলনা হয় না।” যদিও বাংলাদেশের মজুদ কমেছে। তবে রাহুল বলেন, বর্তমান টাকা দিয়ে চার-পাঁচ মাস দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

ব্রিফিংয়ে আইএমএফের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান স্পষ্টভাবে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়। আইএমএফের ঋণের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ গত মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে ঋণ দিতেও সম্মত হয়েছে আইএমএফ। সংস্থার ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ট্রাস্ট (আরএসটি)’ থেকে এই ঋণ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

চলতি মাসের শুরুতে (৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছিল যে বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ এই ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এই তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার দেউলিয়াত্ব ও বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কার মধ্যে আছে যে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো না হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সংকট অবস্থা থেকে নিরসন পেতে অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবার কোনো সম্ভাবনাই নাই।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *