রো/হিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর প্রতিক্রিয়া জানান।
মঙ্গলবার মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সাহায্য করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রো/হিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে আগের মতোই সাহায্য করবে।
এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে সং/ঘর্ষ এবং বাংলাদেশে কয়েক লাখ রো/হিঙ্গার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। ম্যাথিউ মিলার প্রশ্নটির প্রায় এক সপ্তাহ পরে লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে। দেশটি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর দমন-পী/ড়ন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এরই মধ্যে মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে বিরোধ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গু/লিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। সং/ঘর্ষ ও ওপাশ থেকে ভেসে আসা তীব্র গো/লাগুলির শব্দে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জনপদ। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সং/ঘর্ষে টিকতে না পেরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য।
আরাকান আর্মির মতো রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি জোট আরসা, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সং/ঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মায়ানমার সেনা পোস্টে আকস্মিক হামলার মাত্র একদিন পর আরসা পরাজয় স্বীকার করে। আর এর ফলে প্রাণ বাঁচাতে আট লাখের বেশি রো/হিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছে।