বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার কোনো পরিবর্তন হয়নি। পাশাপাশি, দেশটি আরও বলেছে যে বিডেন প্রশাসন বিশ্বজুড়ে কার্যকর ও গতিশীল গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে সহায়তা করছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগের সমন্বয়ক জন কিরবি এ কথা বলেন।
এ ছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বুধবারের ব্রিফিংয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের বিষয়টিও উঠে আসে।
আজকের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দুটি প্রশ্ন করব। বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের দ/মন-পী/ড়ন বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান নির্বাচনকে ‘বিরোধীদের ওপর নির্মম ক্র্যাকডাউন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, “বাংলাদেশ বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আপনি বলেছেন বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে যা করা দরকার তাই করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আপনারা নির্বাচনের আগে ভিসা নীতি ঘোষণা করলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে বাইডেনের প্রশাসনের প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে এমন উদ্বেগের বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে জন কিরবি বলেন, “আমরা এখনও বিশ্বব্যাপী কার্যকর ও গতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে স্পষ্টভাবে বিশ্বাস করি।” এবং বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে আমাদের চাওয়া-পাওয়া বা আকাঙ্খার কোনো পরিবর্তন হয়নি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশাও আমাদের কামনার অন্তর্ভুক্ত।
পরে সাংবাদিক নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের কারাদণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন। বাংলাদেশের একটি আদালত নববর্ষের প্রথম দিনে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্র/তিহিংসার কারণে এই রায় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক দারিদ্র্য দূরীকরণে ড. ইউনূসের অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনে কি তার কারাবাস সহ বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন?
জবাবে, কিরবি সরাসরি উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটি গ্রহণ করেন।