বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় দল অংশ না নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইইউ’র উচ্চপর্যায়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত।” গত রোববার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনী সহিংসতা ও অনিয়মের তদন্ত হওয়া দরকার।
এতে বলা হয়েছে, “ইইউ নির্বাচনী সহিংসতার নিন্দা করে এবং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায়।” ইইউ আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করে এবং সমর্থন করে। এ ব্যাপারে বিরোধী নেতৃত্বকে আটকে রাখা ইইউর জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, “ইইউ সব পক্ষকে রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করার এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের জন্য আহ্বান জানায়।” ইইউ এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্ব দেয় যেখানে মিডিয়া, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলি কোনও ভয় বা বাধা ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য প্রকল্পে দেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যত প্রবেশাধিকার সহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন খাতে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক চিহ্নিত করার বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিতে ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করবে।