যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মনে করে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তবে একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দুই দেশ পৃথক বিবৃতিতে তাদের অবস্থান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্বাচনের দিনের অনিয়মের ঘটনায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সাথে একমত যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং আমরা দুঃখিত যে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের দিন এবং এর পরবর্তী মাসগুলিতে যে সহিংসতা ঘটেছে তার নিন্দা করেছে। একই সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে ঘটনাগুলির একটি বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে উত্সাহিত করে, বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও সম প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যান্য উপাদানগুলো হচ্ছে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সঠিক নিয়মের ব্যবহার। এই মানদণ্ড নির্বাচন সময়ে সবসময় দেখা যায়নি। বড় সংখ্যায় বিরোধীদলের সদস্যদের গ্রেফতারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’
নির্বাচনে ‘ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা’কে নিন্দা জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘কিছু দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সে কারণে জনগণের বেছে নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়েছে।’
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের’ কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও প্রাণবন্ত সুশীল সমাজ থাকলে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জন সহজ হবে। মতভেদ দূর করার জন্য যুক্তরাজ্য সব দলকে উৎসাহিত করে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সমঝোতার রাস্তা বের করার আহ্বান জানায়। আমরা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবো।’