প্রেসক্লাব অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ী মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, এবং অন্যান্য দেশের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আইডিডিবি আয়োজিত ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্র: দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
গৌতম লাহিড়ী বলেন, ভারতের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা অসন্তুষ্ট হন, কিন্তু কেউ নির্বাচন বয়কট করে না। সেখানে এমন কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই, যিনি নির্বাচনে পরাজিত হননি। সেখানে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন সরকারের রুটিন দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেখানে নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা সেনাসমর্থিত সরকারের কোনো প্রয়োজন হয় না। ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলেও সেখানে প্রশ্নাতীত নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ তাদের নির্বাচনি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ১৯৬২ সাল থেকে সা”মরিক শাসনে রয়েছে।
সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা না থাকলেও বিশ্বের পরাশক্তিগুলো সে দেশে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে। কিন্তু সেসব দেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। বাংলাদেশে জেনারেল জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ক্ষমতা দখল করেন। তবে ওই সময় ভোটকেন্দ্রে কোনো ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবু, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক এম মঞ্জুরুল ইসলাম, ভারতীয় দৈনিক জাগরণের কূটনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদক জে প্রকাশ রঞ্জন, টাইমস নাও টিভির কনসাল্টিং সম্পাদক সৃঞ্জয় চৌধুরী ও ভারতীয় সাংবাদিক নন্দিতা রয় প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। .