চীন বাংলাদেশে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন চায়। আর দেশটি চায় না বাইরের কেউ ওই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক। চীন নিজে অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করে না।
আজ রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশি জনগণ। চীন আশা করে যে, সব অংশীদার মিলে একসঙ্গে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ জানে কী ধরনের নির্বাচন দরকার। চীন নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।
রোহি”ঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একসঙ্গে রোহি”ঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা করছে।
রোহি”ঙ্গারা এদেশে এসেছে অতিথি হয়ে। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্যও আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।
এর আগে অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবি-এর সভাপতি কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।