চলমান বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামি বছরের প্রথমদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং কয়েকটি দেশ সুপারিশ করে থাকে। এবার বাংলাদেশের নিড়=বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। ইইউ জানিয়েছে যে, তাদের কোনো সুপারিশ নেই। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের কাজ করবে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন ইইউর হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, আজ (১৮ জানুয়ারি) ইইউ মিশন থেকে ইসির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ বৈঠকের পর এটি আরও অগ্রগতি করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিদেশি মিশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ইইউ সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়। এ বিষয়ে ইসি ইতিবাচক। আমরা মনে করি ইসির কাজ ও অগ্রগতিতে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইইউর এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের জন্য ইসির প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আমাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবাই একটি অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাচন চায়। তাই আমরা ইসির কাছে কোনো সুপারিশ করিনি। তারা তাদের কাজ করবে।
বৈঠকে ইইউর ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল, সিইসি এবং অন্যান্য কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এর আগে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলো ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে। বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি।