ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে যে সদ্য সমাপ্ত ১২তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মান পূরণ করেনি। ব্রিটেনের ঘোষিত অবস্থানের একটুও পরিবর্তন হয়নি। ব্রিটিশ সরকার নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে বাংলাদেশের নতুন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক তার দেশ ও সরকারের অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক। সভা থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে সেগুনবাগিচায় উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সারা কুক বলেন, “আপনারা জানেন, বৃটিশ সরকার নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ৮ জানুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে। আমরা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা চালিয়ে যাব। হাইকমিশনার বলেন, তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা কল্যাণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা করেছি।