শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স”ন্ত্রাসবাদের ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম-২০২২’ প্রকাশ করেছে দেশটি। যেখানে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জ”ঙ্গিবাদ দমন করার জন্য ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ সবসময়ই আল-কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক সন্ত্রা”সী গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান। পরে, মিলার নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের রূপরেখা দেন।
মার্কিন প্রতিবেদনের উল্লেখ করে সাংবাদিক বলেন, ‘আপনাকে (ম্যাথু মিলার) অসংখ্য ধন্যবাদ— আমার দুটি প্রশ্ন আছে। একটি হলো বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবেদন নিয়ে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা জঙ্গি গোষ্ঠীর পুনরুত্থানের কারণ হওয়ার আশ’ঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি? এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?’
এই প্রশ্নের সরাসরি (কোন) উত্তর না দিয়ে মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’
মিলারের প্রতিক্রিয়ার পরে, তবে, প্রতিবেদক বলেছিলেন, “‘(প্রশ্নটি) এটি ছিল না— এটি ছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে— সন্ত্রাসবাদের উত্থান— নির্বাচন নিয়ে নয়।’ এরপর মিলার বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমরা গতকাল বা কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। ওই প্রতিবেদনে যা আছে এরচেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই।’
এরপর সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে গেলে ম্যাথিউ মিলার তাকে থামান। এ সময় তিনি আরেক সাংবাদিককে বলেন, ‘প্রশ্ন করুন।’