টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা সহ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী ওয়াশিংটন। এছাড়া বেসরকারি খাতেও অংশীদারিত্ব বাড়াবে দেশটি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের ওপর নানা ধরনের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দক্ষ কূটনীতিতে সেসব সামলে নিয়েছে ঢাকা। আর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেছেন।
এবার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ করতে চায়।
সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ও জলবায়ুসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখব। আগেই বলেছি, আমি আগেও বলেছি, গেল বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর ছিল।’
প্যাটেল আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু ও নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এসবের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের সঙ্গেও কাজ করতে পারব, যা দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের নাশকতার পাশাপাশি দেশে বিদেশে নানা অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এসবকে পাত্তা দেয়নি। এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেয়।