বাংলাদেশ,জাপান এই দুই দেশে মধ্যেকার চলমান সম্পর্কের একটি প্রধান কারন হলো গত ৫০ বছরে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্য বিনিময়ের প্রসার। জাপান বাংলাদেশের তুলনায় সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সহযোগীতাপূর্ন মনোভাব আগে থেকেই পরিলক্ষিত। বাংলাদেশের আগামী আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল বন্ধু রাষ্ট্রদের রয়েছে নানান মতবাদ, আগ্রহ, বিভিন্ন পরামর্শমূলক বার্তা দিয়ে চলেছেন। তার ধারাবাহিকতায় এবার জাপানের পক্ষ্য থেকেও আসন্ন নির্বাচনকে গিরে সচ্ছতা দেখার আশাব্যাক্ত করে বার্তা দিয়েছেন।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাপান। একই সঙ্গে গত সংসদ নির্বাচনের (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) চেয়ে এবারের (দ্বাদশ) নির্বাচন ভালো হবে বলে আশা করছে দেশটি। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডেকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ-জাপান কূ’টনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী পুর্ন হয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থানে বিশাল পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, নিজেদের ভিতরে বিদ্যমান সুসম্পর্ক জোরদার করার এবং দুই এশীয় দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রসারিত করার দৃঢ় ইচ্ছায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আধুনিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্বার্থ প্রাধান্য পেলেও বর্তমান সম্পর্কের ভিত্তি গভীরভাবে প্রোথিত। OECD সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শিল্পোন্নত জাপানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।