এ কে আব্দুল মোমেন হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেবার পরে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের সকল দেশের পররাষ্ট্রনীতির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা পোস্ট করার পেছনে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের কোনো ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা পোস্ট করার পেছনে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের কোনো ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ নেই। তবে দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ থেকে ওই পোস্টটি সরাতে আপত্তি জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। আমরা তাদের বলেছি যে এটা এখানে রেখে যাওয়াই ভালো। তবে পাকিস্তান হাইকমিশন বলছে, তারা তাদের দেশের পতাকা এবং অন্যান্য দেশের পতাকা একত্রিত করে এ ধরনের ছবি তৈরি করে। ‘ডিএইচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন’ উপলক্ষে রোববার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
২১শে জুলাই, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে পাকিস্তানের পতাকার সাথে মিলিয়ে একটি পোস্ট করেছে। যা পরবর্তীতে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কভার পেজেও ব্যবহার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হাইকমিশনকে বাংলাদেশের পতাকার ছবি নামাতে বলা হয়।
এর মধ্যে রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে পাকিস্তান হাইকমিশন তাদের ফেসবুক কভার পেজ থেকে বাংলাদেশের পতাকা সরিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। বাংলাদেশর মানুষ ভাষার জন্যও সংগ্রাম করেছে এবং অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে প্রাণ। ভাষার জন্য জীবন বিলিয়ে দেয় এমন দেশ পৃথিবীতে খুব কমই আছে।