আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এই অবস্থান সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি নেতৃত্বে ছিলেন বলেই বাংলাদেশকে পৃথিবী চিনতে পেরেছে। বাংলাদেশের তার বিকল্প নেই তিনিই পারেন বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে। শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই বলে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার আছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডাঃ হাশান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কারণ তিনিই ছিলেন সেনাবাহিনী সমর্থিত ১/১১ সরকারের সকল অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন। সেদিন প্রকৃতপক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। গণতন্ত্রের পায়ে সেদিন শেকল পরানো হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে দুর্নীতি করছিল তার সঙ্গে তাদের অনেকেই জড়িত ছিল। এই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন। বিএনপি ও তাদের নেতারা সেভাবে প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, ওই সময় আমাদের দলের অনেক বড় নেতা খারাপ কথা বললেও দলের নেতা-কর্মীরা তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ ছিল। যারা অনর্থক কথা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, তাদের অনেকেই ভয়ে দলীয় কর্মসূচিতেও যাননি, কেউ কেউ গেলেও অপমানিত হয়েছেন। আমরা বুঝেছিলাম নেতাকে গ্রেফতার করা হবে।নেত্রীও জানতেন, তিনি প্রস্তুত ছিলেন, আমি নিজেও ঘরে থাকতাম না। রাতে জায়গা বদল করে করে থাকতাম। নেত্রীকে গ্রেপ্তারের সময় সুধাসদনে সবকিছু তছনছ করা হয়েছিল। ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতারের পর মতিয়া চৌধুরী প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেদিন জিল্লুর চাচার সাথে আমার প্রথম কথা ছিল, ‘নেত্রী গ্রেফতার হয়েছে, এখন দল ভাঙার চেষ্টা করা হবে। দল ভাঙতে পারলে নেতাকে মুক্ত করা কঠিন হবে। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই আমাদের প্রথম কাজ।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা বহু অত্যাচার-অন্যায় সহ্য করে গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করেই আজ এই দেশের মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছে। ক্ষমতার জন্য দেশের মানুষের যাতে অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি।