পুরো বিশ্ব জুড়ে চলছে জ্বালানি সংকট। এই সংকটের কারণে জ্বালানি ব্যবসায়ী অনেক প্রতিষ্ঠান পড়েছে সীমাহীন ক্ষতির মুখে। জ্বালানি হলো মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি তরল পদার্থ। সম্প্রতি জানা গেছে বাংলাদেশকে তেল দিবে তুরস্ক।
বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশে তেল রপ্তানি করতে চায় তুরস্ক। আসন্ন ডি-৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ সফরে আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান সময় নিউজকে বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। উপরন্তু, তুরস্ক বৈদ্যুতিক পণ্য এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায়।
বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে। বিশেষ করে গত এক বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ছে। গত দুই বছরে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে।
চলতি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশের প্ল্যাটফর্ম D8-এর সম্মেলন। সেখানে তুরস্কের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। এদিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আগ্রহী তুরস্ক। দেশটি অবকাঠামো উন্নয়ন, বৈদ্যুতিক পণ্য ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। মোস্তফা ওসমান তুরান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি আমরা বৈদ্যুতিক পণ্য এবং এলপিজি খাতে যুক্ত হচ্ছি। এছাড়া তুরস্কের বড় বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের জ্বালানি ব্যবস্থা যখন টালমাটাল, এমন সময়েও কামাল আতাতুর্কের দেশ এই দেশে তেল রপ্তানি করতে আগ্রহী। আত্মহননের জন্য
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা এদেশে জ্বালানি তেল সরবরাহের কথা ভাবছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে এই বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। সবার জ্বালানি দরকার। তারপরও, দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় জ্বালানি ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে তুরস্কে বাংলাদেশি পর্যটকদের আগ্রহের কারণে ভিসা প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাথে বলতে গেলে বিশ্বের সব দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে। সব দেশই বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় বাংলাদেশ সবদিক থেকে লাভবান হচ্ছে। আর এমনটি সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।