এবার ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে রুহুল কবির বলেন, “ভারত সরকার এবং তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত কেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে গেছে।” স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন করে তারা (ভারত) বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আরও বলেন, ‘তাদের (ভারত) উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, সেটিকে সমর্থন দেওয়া।’
সপ্তম দফার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানীর বনানী এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি মিছিলের নেতৃত্বে রুহুল কবির সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেনভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা মূলত সমালোচনা করেন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থানের।
ঢাকা জেলা বিএনপি এ পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে।বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যু, দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতাসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
রুহুল কবির বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করছে।
বাণিজ্যে ভারসাম্য না থাকার কথা উল্লেখ করে রুহুল কবির বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে একতরফা বাণিজ্য করলেও তারা (ভারত) বাংলাদেশকে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। তারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিলেও প্রাপ্তির হিসাব শূন্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আজ সকাল সাতটায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে মিছিল হয়। মিছিলটি বনানী মাঠ থেকে বের হয়ে কাকলী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখানে বক্তব্য দেন রুহুল কবির।
এ সমাবেশ ও সমাবেশে বিএনপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, মীর নেওয়াজ আলী পারভেজ রেজা, খন্দকার আবুল কালাম প্রমুখ।