এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হেরেছে ভারত। এই হারে, নেটিজেনরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিন্দা করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের ক্রীড়া পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা লিখেছেন প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার অশোক মালহাত্রা। লিখেছেন- এগারো বছর পর পরাজয় আর কবে নেবে যাদবরা!
আনন্দবাজার পত্রিকায় রোহিত শর্মার আঙুর ফলের টক মন্তব্য বেরিয়েছে- তরুণদের পরীক্ষা সামনে রেখেছি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। একমাত্র সান্ত্বনা- শুভমান গিলের সেঞ্চুরি।
প্রখ্যাত ক্রিকেট লেখক বিক্রান্ত গুপ্ত তার ইউটিউব চ্যানেলে রোহিত শর্মার সমালোচনা করে বলেছেন – রোহিত সম্ভবত ভুলে গেছেন এটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়। তিলক ভার্মার খেলার ঝুঁকি কেন নেওয়া হয়েছিল?
গিল ছাড়া বাকি ব্যাটারদের অবদান কী? মানে বিরাট কোহলি খেলেননি। কিন্তু অন্য ব্যাটাররা ছিল।
এক নেটিজেন লিখেছেন—বাংলাদেশি বাঘের সামনে ইঁদুরে পরিণত হলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ২৬৫ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। শুভমান গিলের ১৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও পাঁচ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১২১ রানের ইনিংস বৃথা যায়। এগারো বছর আগে এই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেও দল জিততে পারেনি। গিলতেও পারেনি শুভমন।
তানজিম সাকিবের মতো আনকোরা বোলার শক্তি দিয়ে বোলিং করেছেন। মেহেন্দি মিরাজের স্পিন খেলতে পারেননি তথাকথিত তারকারা- এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?
জিঞ্জার স্পোর্টস নামে আরেকটি চ্যানেল ভারতীয় দলের নির্লজ্জ আচরণের নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য- আমি ফাইনালে পৌঁছেছি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা নৈমিত্তিক পন্থা নিয়ে এসেছি।
অবিনাশ আরিয়ান নামে এক ক্রিকেট সমালোচক বলেছেন- বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে। কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে যদি তাদের মানসিকতা এক ফোঁটাও থাকত! টাইমস অফ ইন্ডিয়ার শিরোনাম—ভারতের বেঞ্চ শক্তি বাংলাদেশ টেস্টে ব্যর্থ। তাদের আরেকটি সাব-হেড- যেভাবে বাংলাদেশ একড ভারতকে ছয় রানে জিতিয়েছে।
প্রতিদিনের শিরোনাম আক্ষেপে ভরা – গিলের অত্যাশ্চর্য সেঞ্চুরি, শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশকে বধ করছে ভারত।