দেশের উন্নয়নের দিক বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দেশে পদ্মা সেতু স্থাপন কালে ভারত থেকে প্রায় বিপুল পরিমান অর্থের ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার যেটার পরিমান প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর এখন নতুন প্রযুক্তি ও নতুন কর্মধারায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ চীন। বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ পাওয়ায় দেশের বর্তমান অর্থনীতির দিকটি তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের নিকট কাড়ি কাড়ি টাকার বড় বস্তা নিয়ে হাজির চীন। তাদের ঋণের প্রস্তাব আক্রমণাত্মক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের। জনগণের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
সেজন্য এখানে আর্থিক তহবিলও প্রয়োজন। প্রয়োজনে আমরা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছি। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আমরা আরও বিনিয়োগ আশা করছি।
“আমরা তার জন্য কি করতে পারি? কোন পথ খোলা কিনা!”, শনিবার জার্মানির মিউনিখে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
প্যানেল আলোচনায় ড. মোমেন আরও বলেন, “বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। মানুষের মধ্যে উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাও দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে আমাদের কাছে তেমন টাকা নেই। আমাদের কাছে প্রযুক্তিও নেই। সেজন্য আমরা জনগণের চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক দেশ বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে জাপান প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ভারতও আমাদের ঋণ দিয়েছে। আমি এই দুই দেশের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আরও অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের আরও তহবিল দরকার।
বহিরাগত দেশ দিয়ে অতি পরিমাণে ঋণ পেতে থাকলে বাংলাদেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে সু-নিপুণভাবে কিন্তু অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য ভারী হবে ঋনের বোঝা। তাই অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশকে বাইরের দেশ থেকে ঋন করতে হলেও সেটা নিয়ে পর্যালোচনা অবশ্যই দরকার এবং সেই ঋনের বিপরীতে কী পরিমান সুদ দিতে হবে বা অন্য কোনো পরিকল্পনা দেশটির রয়েছে কিনা সেটাও অবশ্যই বিশ্লেষন করতে হবে। আ