বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৬ টি দেশের কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান উন্নয়নশীল সমাজের চালিকাশক্তি।
সম্প্রতি নিউইয়র্কের ফরেন প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬ টি দেশের নির্যাতিত সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য ৫টি দেশ হলো- চীন, রাশিয়া, ইরান, জিম্বাবুয়ে ও কিউবা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক যিনি যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক নির্যাতিত ও নির্বাসিত হয়েছিলেন। কনক সারোয়ার।
বৈঠক প্রসঙ্গে কনক সারোয়ার জাস্ট নিউজকে বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বৈরাচারী শাসনে সাংবাদিক নির্যাতন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তোলা যাবে না
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেও সাংবাদিকতা চালিয়ে যাবার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
সাংবাদিকরা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ব্লিকেন গণতন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ, নজরদারি, নিপীড়নমূলক আইন, অপপ্রচার, গ্রেফতার এবং সহিংসতার মতো যে হুমকিসমূহ তৈরি হচ্ছে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, “যখন আমরা মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতিবাদ জানাচ্ছি তখনি এসবের মর্যাদা ধরে রাখতে যা করার দরকার যুক্তরাষ্ট্র তাই করছে। যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়েছে ব্যবস্থা। আর ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি তারা জারি রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী।