বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এমন যেকোনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প যুক্তরাষ্ট্র হাতে রেখেছে। ২২শে সেপ্টেম্বর, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই তথ্য ঘোষণা করেন এবং নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
সরকার, বিরোধী দলসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। আর মার্কিন অফিস প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে। ম্যাথু মিলার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যে কারও বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হবে তা স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে, যতক্ষণ না নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঠিক সময় হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো বাস্তবায়ন না করে অন্য কিছু বাস্তবায়ন করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণত নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্বেগের বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। এ সময় মিলার ‘ভিয়েনা কনভেনশন’-এর বাধ্যবাধকতা তুলে ধরেন। তার প্রত্যাশা বাংলাদেশ শুধু মার্কিন নয়, সব বিদেশি মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।