Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাংলাদেশের এক পরিবারে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, জানা গেল কারণ

বাংলাদেশের এক পরিবারে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, জানা গেল কারণ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নজর রাখছে বিভিন্ন দেশ। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে একের পর এক বার্তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বাংলাদেশে গু”ম ও বিচার বহির্ভুত ক্রস ফা”/য়ার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। এবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তোপে পড়লেন গুমের শিকার হওয়া এক পরিবারের স্বজনদের।

গুম করা হয়েছে এমন ধরনের অভিযোগ তোলা ব্যক্তির স্বজনদের সাথে দেখা করতে গিয়ে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বর্ব”/রতার শিকার পরিবারের তোপের মুখে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বর্তমান আ.লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের শিকারের অভিযোগ তোলা সাজেদুল ইসলাম সুমনের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

খবর পেয়ে সেখানে ভিড় জমান ১৯৭৭ সালের গণহ”/ত্যায় প্রয়াতদের স্বজনরা। তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্বজন হ”/ত্যার খতিয়ান তুলে ধরেন। তবে নির্লিপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেই সময় এ বিষয়ে কিছু বলেননি। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা স্বজনদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ভিড়তে বাধা দেন।

তারা ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের ব্যানারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন। সংগঠনের সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ৪৫ বছর আগের এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছেন।

একজন মহিলা বলেন, ‘আমরা এখানে আমাদের কষ্টের কথা বলতে এসেছি। কারণ আমরা আমাদের বাবার দেহটি পাইনি। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া চলে। আমার বাবাকে হ”/ত্যা করে নিথর দেহটিও আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে এ কথা বলতে আসছি।

আরেকজন বলেন, সেদিন কী হয়েছিল দেশ ও বিশ্ববাসী জানুক। আজ ৪৫ বছরে এই পরিবারগুলো ধ্বং”/স হয়ে গেছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সহায়তায় বিচারের নামে স্বেচ্ছাচারী প্রহসন বিশ্ববাসী জানতে পারবে। ন্যায়বিচার পেতে; এমনই প্রত্যাশা স্বজনদের।

কেউ হারিয়েছেন পিতা, কেউ ভাই আবার কেউ হারিয়েছেন স্বামী বা সন্তানকে। ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে কথিত বিদ্রো’হ দমনের নামে সাম”রিক শা’সক জিয়াউর রহমান নির্বিচারে সশ”স্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফাঁ”/সিতে ঝু’লিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ”ণ্ড দেন। অনেক নিথর দেহ হারিয়ে গেছে। এমনকি আত্মীয়ের প্রয়ানের খবর পেতে, কবর খুঁজতে কেটে যায় ২০ বছর।

১৯৭৭ সালে তাদের পরিবারের সদস্যরা যখন তার চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে অবগত হন। এরপর তারা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেও বিচার পাননি। সেই সময় বিচারের নামে জিয়ার হাতে যারা খু”/ন হয়েছিলেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন এবং সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *