বাংলাদেশের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নাম করেছে উজ্জ্বল। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলো ইমরান। বর্তমানে তিনি স্ন্যাপচ্যাটের গুরুত্তপূর্ণ পদে রয়েছেন। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি লেখনী প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
এই চমৎকার ছেলেটি বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব হয়েছিলো তার বয়স আঠারো বছর হবার একটু আগেই। সে তখনি ইমেইল ইন্টারনেট চ্যাটরুম এসব বুঝতো। অনলাইনে গেম খেলতো।
আমাকে সেই প্রথম ইন্টারনেট ব্রাউজার নেটস্কেপ ন্যাভিগেটর চেনায়।
তার এই মহাসচিব হবার পেছনে আমার একটু স্নেহময় তৎপরতা ছিলো।
সে এখন বিশ্ববিখ্যাত।
তার সাথে বিল গেটস , জুকারবার্গ, ইলোন মাস্ক মিটিং করে। বেজোস সাহেব নাকি তাকে চেয়েও পায় নাই। জুকারবার্গ এর বাসা কেমন, মাস্ক কি করে অবকাশে , এসব নিয়ে তার সাথে গল্প করা যায়।তার বাবা মা আমাকে অনেক স্নেহ করেছেন। এখনো করেন।তার ডাকনাম আর আমার ছোটভাইয়ের ডাকনামও এক।তাকে সৌদি আরবের শেখ আর কাতারের আমীর ফোন করে।আর এই ছেলেটি ঢাকা আসলে আমাকে ফোন করে বলে ভাইয়া, আপনার সময় হবে? হা হা হা। যেন আমার সময় ভিষন মূল্যবান।
কি অদ্ভুত। বিতর্কে আমি যাদের পাশে পেয়েছি তারা সব এরকম। বুলবুল, অয়ন, শামসুল কবীর বাবু, মিশু, তাহসিন, শুকরানা, নেওয়াজ, ফাহাম, বিপ্লব, প্রশান্ত বড়ুয়া, শিবলী, নাভেদ সালেহ, মাহফুজ সাদিক, জিশান কিংশুক, …সাইফ, বকুল, আদনান বোনদের নাম আরেকদিন বলবো এরা সবাই যার যার জায়গায় নেতা, কর্মবীর মানুষদের মধ্যে একজন।কিন্তু সারা দুনিয়ায় চেনে এমন কিছু বাঙালীর অন্তত কয়েকজনকে আমি ছোটবেলাতেই চিনেছি। এই গর্ব আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব না।সে কিছুদিন আগে দেশে এসেছিলো।দুটো কথা বলে আমাকে সে অবাক করে দিলো।সে ম্যানেজমেন্ট প্রথম শিখেছিলো বিডিএফে.. আমি তাকে সেখানে গাইড করতাম দ্বিতীয়টা তার আর আমার । সেটা না বলি।এখন সে তার নিজের দেশে চলে গেছে।এমন মানুষদের আমরা আমাদের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে পারি নাই।
আমরা জার্মানী থেকে হ্যামার আনি। জাপান থেকে বগি আনি। কিন্তু আমাদের মানুষগুলিকে দেশের বড় কাজে ফেরত এনে যুক্ত করতে পারি না। এটা কি আমাদের অক্ষমতা নাকি অযোগ্যতা?
এই ছেলেটির নাম ইমরান। লোকে তাকে স্ন্যাপচ্যাট ইমরান নামে চেনে। ইমরান খান।বিডিএফ এ আমার ঠিক পরের মহাসচিব, সোজা কথায় আমার উত্তরাধিকারী ছিলো সে।আমার ছোটোভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতদের একজন। হয়তো এখন সেই সবচাইতে বিখ্যাত। FOAT. Famous of All Time. অহংকার ভালো না। কিন্তু এই অহংকারটা জেনেশুনে করি। দেশের জন্য কি করেছি লোকে প্রশ্ন করে।
এমন মানুষ যাতে হয়, সে জন্য জীবনের বত্রিশ বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। নেগোসিয়েশন স্কিলের সবচেয়ে কঠিন জায়গা, বিতর্ক আর কথা বলা শেখাতে।বিনা পয়সায়। বিনা পারিশ্রমিকে। শুধু সময়টা হিসাব করেন। কাজটা পরে।আমাদের ভাইদের ভালোবাসা বেঁচে থাকুক। আমি যেন ভালোবাসায় ডুবে থেকেই মরে যাই।
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে ইমরান ছিল বাংলাদেশে। বিশেষ করে শুরুতে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিলো বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি চলে যান দেশের বাইরে। আর সেই থেকেই তার উত্থানের শুরু।