Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাংলাদেশের ঋণ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন শ্রীলঙ্কার সাংসদ

বাংলাদেশের ঋণ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন শ্রীলঙ্কার সাংসদ

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় একদম উপরে অবস্থান করছে। সেই সাথে বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের পাশে সহায়তা করার জন্য দাড়াচ্ছে। এবার শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটে সহায্যের জন্য এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। দেশটিকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে সাহায্যের হাত প্রসারিত করলো শ্রীলংকার অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ বাংলাদেশ। শ্রীলংকার এই সংকটকালীন সময়ে সহয়তা দেওয়ার জন্য সে দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমান সময়ের সংসদ সদস্য হর্ষ ডি সিলভা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, দুঃখজনক সত্য হলো শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সং’কট থেকে উত্তরনের জন্য এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ, আর এই কারনে সেই দেশের নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিকভাবে বেশ বড় ধরনের সংকটময় পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যেখানে রিজার্ভ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে, সেখানে শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক মুদ্রার সংক’টে পতিত হয়েছে।

গৃহযু’দ্ধের ক্ষত, উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল বৈদেশিক ঋণসহ নানা কারণে চাপে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। হর্ষ ডি সিলভা বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রাজপাকাসার ফোনের পর ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের সময় আরও তিন মাস বাড়িয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা কতটা তলানিতে নেমে গেছি…

গত মে মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছিল ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এ সময়ই ৪৫ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ গড়া বাংলাদেশ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে সে সময় শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, ডলারে ঋণ নিলেও নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশকে এই অর্থ নিজেদের মুদ্রায় ফেরত দেবে শ্রীলঙ্কা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদও।

পাশাপাশি ২০ কোটি ডলার সমমূল্যের শ্রীলঙ্কান রুপি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিয়েন হিসেবে জমা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করবে সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ শ্রীলঙ্কা।

উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে বাংলদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যার কারনে আজ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনেক দেশের জন্য একটি উদাহরন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে আগামি ২০৩৫ সাল নাগাদ একটি উন্নত রাস্ট্রের কাতারে নিজেদের দাঁড় করাতে সক্ষম হবে এমন আশা করছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা স্থিতিশীল থাকলে সেটা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *