গেলো বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশে একটি বিষয় নিয়ে হচ্ছিলো ব্যাপক আলোচনা।আর সেই আলোচনা হলো বাংলাদেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সেই সফর শেষে দেশে ফিরে গেছেন তিনি। এ দিকে গত ডিসেম্বরে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বার্ষিকীতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এর কারণ হিসেবে দেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে র্যাবের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু রবিবার বিকেলে ঢাকায় এসে বলেন, “যদি কোন অগ্রগতি না হয়, তাহলে র্যাবের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমি আজ আমাদের অংশীদারদের (বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের) বলেছি যে, অন্যান্যদের মতো। নিষেধাজ্ঞা, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বার্ষিকীতে আমরা র্যাবের আরও সদস্য নিষিদ্ধ করব।কিন্তু আমরা করিনি।কারণ আমরা স্বীকার করি যে সরকার ও র্যাব নিজেই সংস্কারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২১, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং এর সাথে যুক্ত কিছু কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে র্যাবের উন্নতি হয়েছে। র্যাব নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, র্যাব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনি যদি এই সপ্তাহে প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিটি দেখেন তবে এর একটি স্বীকৃতি রয়েছে। এবং আমরা এটাও স্বীকার করি, বিচারবহির্ভূত হ’ত্যা’কা’ণ্ড’ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
র্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হ’ত্যা’কা’ণ্ডে’র” অভিযোগ হ্রাসের কথা উল্লেখ করে ডোনাল্ড লু বলেন, “এটি একটি বিস্ময়কর বিষয়। এটি প্রতিফলিত করে যে র্যাব মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে সন্ত্রাস দমন ও আইন প্রয়োগের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম।
এদিকে রোববার দুপুরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড লু।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। র্যাব ইস্যুতে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। এটি এটি নিষ্পত্তি করবে।
উল্লেখ্য, এ দিকে ডোনাল্ড লু দু’দিনের সফর শেষে রবিবার রাতে ঢাকা ছাড়েন। জানা গেছে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছেন তিনি মার্কিন মুলুকে। সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন তার এই সফর হয়েছে সফল।