আগামী বুধবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রসঙ্গে চীন বলেছে, আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক। অন্যদিকে ভারত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে।
চীন আশা করছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এটি একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতার জন্য একটি মাইলফলক হবে।’ তিনি বলেন, তারা (চীন) আশা করছেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ‘শক্তিশালী, আরও স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ’ হবে।
একই দিনে নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি যে বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
নবনিযুক্ত মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ঠিক সেখানেই আছি। গত সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সুতরাং বিষয়টি আমি এই অবস্থাতেই রেখে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করেছি। আমরা খুব কাছ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবো।
মিলার বলেন যে তারা কোন অগ্রগতিতে কী পদক্ষেপ নিতে পারে বা নাও পারে সে সম্পর্কে তিনি কখনই অনুমান করবেন না।
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ‘নিবিড়ভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সহকারী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো ৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আশা করি সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”