Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / economy / বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বড় সুসংবাদ, দেখা দিয়েছে আশার আলো

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বড় সুসংবাদ, দেখা দিয়েছে আশার আলো

গেলো বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে হচ্ছিলো নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। ছিল অনেক বেশি সংকট। কিভাবে চলবে দেশ অর্থনীতি একেবারেই ছিল নিন্মমুখী। তবে এবার পাওয়া গেল বড় এক সুখবর। জানা গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগামী এক-দুই দশকের মধ্যে দেশটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে।

গত ছয় বছরে দেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ৫ শতাংশে নেমে গেলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে। আর প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগামী এক-দুই দশকের মধ্যে দেশটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। গত ছয় বছরে দেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ৫ শতাংশে নেমে গেলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে। আর প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।

গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) এক গবেষণায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ২৫ নভেম্বর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতার উপর পরিচালিত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে। বিসিজি গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস হ্যান্স-পল বার্কনার বলেন, “বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য একটি রোল মডেল।” এই দেশ ইতিমধ্যে অনেক অর্জন করেছে। বেসরকারি খাতের অপরিসীম অবদানের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের রূপান্তর এবং দেশের বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান এই অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে।

বিসিজি বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান পাওয়ার হাউস বা পাওয়ার হাউস বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই শক্তি কেন্দ্রের ভিত্তি বা স্তম্ভ আটটি। সেগুলো হলো—দৃঢ় আশাবাদ, ভোক্তা শ্রেণির উত্থান, ক্রমবর্ধমান তরুণ কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক পরিবর্তন, ডিজিটাল অর্থনীতির গতি, সরকারি বিনিয়োগ, বেসরকারি খাত, উদীয়মান গিগ অর্থনীতি (ইন্টারনেট-ভিত্তিক খণ্ডকালীন কাজ)।

প্রসঙ্গত, এ দিকে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শুনিয়েছেন স্বস্তির বার্তা। তিনি জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতি এখনো রয়েছে স্থিতিশীল। দেশের মানুষের ভীত হওয়ার মত কিছু এখনো ঘটেনি। তবে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে পৌঁছে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলার এ ইটা দেশের জন্য একটি বড় ধরনের বিষয় এখন সুখবর এটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।

About Rasel Khalifa

Check Also

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যত বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকলো

আমদানি বিলের জন্য ১.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *